এটা খুবই আনন্দের সংবাদ যে, আমাদের সংবাদপত্র জগতে; প্রিন্ট মিডিয়া জগতে আরেকটি নতুন দৈনিক সংযোজিত হচ্ছে। নামটি প্রথমেই খুব আবেগ সঞ্চারিত করে, কারণ ‘আমার বাঙলা’। এ নামটি নিজস্বতা সেটা মানুষকে বাংলাদেশের সম্পর্কে আমার বাঙলা জীবন ভ‚ত-ভবিষ্যৎ স্বপ্ন, সবকিছুকে প্রতিফলিত করে এ নামটির মধ্য দিয়ে। আমার ঠিক মনে পড়ে যায়, এ নামেই একটি বিখ্যাত গ্রন্থ আছে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের। যেখানে এই বাঙলা সম্পর্কে বেশিরভাগ তার স্মৃতিচারণমূলক লেখা আছে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যদি আমরা বিবেচনা করি, তাহলে পরে এখানে কার্যকরভাবে প্রকাশিত হয় পাঠকদের কাছে পৌঁছায় কম-বেশি সেই পত্রিকা কিন্তু হাতে গোনা। সম্ভবত প্রশ্ন উঠবে এই তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যে বড় বড় হাউস থাকা সত্ত্বেও, পত্রিকা থাকা সত্ত্বেও ‘আমার বাঙলা’ আবার কেন প্রকাশিত হচ্ছে। তার যৌক্তিকতা কী? কেন পাঠক ‘আমার বাঙলা’ পড়বে। এ উত্তরটি তাত্ত্বিক বিবেচনা আমরা বলতে পারি। কিন্তু আমি বলতে পারি, তা আমাদের কাজ দিয়েই প্রমাণিত করতে হবে। কারণ ‘আমার বাঙলা’ প্রকাশিত হলো আর লাখ লাখ মানুষ এই পত্রিকা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল, এমনটি তো আর হয় না। কিন্তু প্রতিযোগিতার এ বাজারেও নিজের জন্য স্থান করে নিতে হয়। আমি ধারণা করি, ‘আমার বাঙলা’ আমাদের দেশের যে সামাজিক বাস্তবতা, রাজনৈতিক বাস্তবতা, অর্থনৈতিক বাস্তবতা এটাকে উপলব্ধি করেই এ পত্রিকাটি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে এবং নিজের জন্য একটি স্থান সে করে নিতে পারবে। আমি প্রথমেই বলেছিলাম যে, ‘আমার বাঙলা’ নামটি নিজেই পাঠকমাত্র আকৃষ্ট করে, আবেগাপ্লুত করে। সংবাদপত্রের সামাজিক যদি দায়বদ্ধতা না থাকে, তাহলে কোনো পত্রিকাই খুব বেশি দিন চলে না। আমি মনে করি, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সমাজের তৃণমূল পর্যায় থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত আমাদের সামাজিক জীবনের নানা ঘটনা, নানা অগ্রগতি; বিপরীতভাবে সীমাবদ্ধতা-ব্যর্থতা-সাফল্য সবগুলোকে একেবারে নির্মোহভাবে তুলে ধরবে ‘আমার বাঙলা’। রাজনৈতিক বিবেচনা থেকে আমি বলি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা যতটা না তাত্তি¡ক, যা বাস্তবিকভাবে আইনের নানান ফাঁকে, আইনের বেড়াজালে সেটা বন্দি থাকে। তবে আমি বলব, যদি সদিচ্ছা থাকে, সাহস থাকে; তাহলে দেশের ৩টি মৌলিক জায়গায় কোনো আপোস না করে, কোনো দুর্বলতা না দেখিয়ে ‘আমার বাঙলা’ তার ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে পারবে, যা পাঠকদের আকাক্সক্ষার সাথেও সংগতিপূর্ণ হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এক. ‘আমার বাঙলা’কে পত্রিকা হিসেবে জনগণের মুখপত্র হিসেবে প্রমাণ করতে হবে। এটা যদি কোনো দলবিশেষের বা গোষ্ঠীবিশেষের মুখপাত্র হয়ে যায় সেখানে তার নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতা কিন্তু কমে যাবে। দায়বদ্ধতা চলে যায় একটি দলের হাতে। সেটি হয়ে যায় একটি দলীয় পত্রিকা। সুতরাং, সেই জায়গায় একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ‘আমার বাঙলা’র যাত্রা শুরু হবে; এটাই আমরা প্রত্যাশা করি। দুই. ‘আমার বাঙলা’ জানে তথাকথিত নিরপেক্ষতার কোনো স্থান নেই। তবে ‘আমার বাঙলা’ কখনোই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের যেসব মৌলিক প্রশ্নে জাতিকে বিভক্ত করে রেখেছে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির কোনো ফাঁদে তারা পা দেবে না। তারা সমুন্নত রাখবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবকে। আমাদের জাতির পিতার মর্যাদাকে অক্ষুন্ন রাখবে এবং বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রামকে আমলে নেবে। বিশেষ করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার ব্যাপারে ‘আমার বাঙলা’ সহযোগী হয়ে নিরন্তর কাজ করবে। ‘আমার বাঙলা’ যারা সমাজকে নির্মাণ করছে, দেশকে নির্মাণ করছে, সেসব সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, শ্রমজীবী মানুষ, মননশীল বুদ্ধিজীবী মানুষ; যারা দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ভ‚মিকা রাখছেন তাদের পক্ষাবলম্বন করবে। আমরা নিরপেক্ষ অবশ্যই থাকব। তবে সাদাকে সাদা বলা এবং কালোকে কালো বলা হবে। এখানে নিরপেক্ষতা হবে সংবাদ পরিবেশেনে। কোনো সংবাদ যেন পক্ষপাতদুষ্ট না হয়, কোনো সংবাদ যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে, কোনো সংবাদ যেন মানুষকে কনফিউজ না করে, ‘আমার বাঙলা’ সে ব্যাপারে সর্তক থাকবে। আমাদের দেশে একটি কথা খুব প্রচলিত আছে সংবাদপত্রের একটি কাজ হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। পাশাপাশি এটার বিপরীতে অভিযোগ রয়েছে সংবাদপত্র বস্তনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে প্রশাসনের আশ্রয় নিয়ে প্রায়ই জনগণকে, পাঠককে কনফিউজ করে। আমি মনে করি, ‘আমার বাঙলা’ কাউকে কনফিউজ করবে না। সত্য-সুন্দর-বিশুদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ‘আমার বাঙলা’ প্রকৃত সত্য ঘটনা যতই নির্মম হোক, তা প্রকাশ করবে। তিন. সংবাদপত্র ‘মিরর অব দ্য সোসাইটি; সমাজের দর্পণ’ আমরা এটা ভুলে যাব না। পাঠক কি চায়, তা শুদ্ধভাবে তুলে ধরাই হবে ‘আমার বাঙলা’র নীতি। পাঠকের চাহিদা যদি হয় রাজনীতি, যদি হয় সংস্কৃতি, ক্রীড়া-বিনোদন-বাণিজ্য ‘আমার বাঙলা’কে ঠিক আমরা সেভাবেই সাজাবাে। টার্গেট থাকবে কীভাবে একটু ব্যতিক্রমধর্মী সংবাদ পরিবেশন করা যায়। সবশেষ কথা হচ্ছে, চাইলেই একটি পত্রিকা রাতারাতি বড় হতে, সাড়া জাগাতে পারবে না। তবে, আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ‘আমার বাঙলা’কে পাঠকের সংবাদপত্র হিসেবে দাঁড় করানো। ‘আমার বাঙলা’ সামাজিক দায়-দায়িত্ব আগলে রাখবে। শুধু সংবাদ পরিবেশনই নয়, জনগণ-সমাজ-রাষ্ট্রের অখণ্ডতার ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল থেকে স্পর্শকাতর বিষয়ে ‘আমার বাঙলা’ অবশ্যই সরকারের আইনগত বিধিনিষেধও উপেক্ষা করবে না।
পত্রিকা কিন্তু হাতে গোনা। সম্ভবত প্রশ্ন উঠবে এই তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যে বড় বড় হাউস থাকা সত্ত্বেও, পত্রিকা থাকা সত্ত্বেও ‘আমার বাঙলা’ আবার কেন প্রকাশিত হচ্ছে। তার যৌক্তিকতা কী? কেন পাঠক ‘আমার বাঙলা’ পড়বে। এ উত্তরটি তাত্তি¡ক বিবেচনা আমরা বলতে পারি। কিন্তু আমি বলতে পারি, তা আমাদের কাজ দিয়েই প্রমাণিত করতে হবে। কারণ ‘আমার বাঙলা’ প্রকাশিত হলো আর লাখ লাখ মানুষ এই পত্রিকা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল, এমনটি তো আর হয় না। কিন্তু প্রতিযোগিতার এ বাজারেও নিজের জন্য স্থান করে নিতে হয়। আমি ধারণা করি, ‘আমার বাঙলা’ আমাদের দেশের যে সামাজিক বাস্তবতা, রাজনৈতিক বাস্তবতা, অর্থনৈতিক বাস্তবতা এটাকে উপলব্ধি করেই এ পত্রিকাটি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে এবং নিজের জন্য একটি স্থান সে করে নিতে পারবে।
আমি প্রথমেই বলেছিলাম যে, ‘আমার বাঙলা’ নামটি নিজেই পাঠকমাত্র আকৃষ্ট করে, আবেগাপ্লুত করে। সংবাদপত্রের সামাজিক যদি দায়বদ্ধতা না থাকে, তাহলে কোনো পত্রিকাই খুব বেশি দিন চলে না। আমি মনে করি, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সমাজের তৃণমূল পর্যায় থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত আমাদের সামাজিক জীবনের নানা ঘটনা, নানা অগ্রগতি; বিপরীতভাবে সীমাবদ্ধতা-ব্যর্থতা-সাফল্য সবগুলোকে একেবারে নির্মোহভাবে তুলে ধরবে ‘আমার বাঙলা’। রাজনৈতিক বিবেচনা থেকে আমি বলি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা যতটা না তাত্তি¡ক, যা বাস্তবিকভাবে আইনের নানান ফাঁকে, আইনের বেড়াজালে সেটা বন্দি থাকে। তবে আমি বলব, যদি সদিচ্ছা থাকে, সাহস থাকে; তাহলে দেশের ৩টি মৌলিক জায়গায় কোনো আপোস না করে, কোনো দুর্বলতা না দেখিয়ে ‘আমার বাঙলা’ তার ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে পারবে, যা পাঠকদের আকাক্সক্ষার সাথেও সংগতিপূর্ণ হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে
এক. ‘আমার বাঙলা’কে পত্রিকা হিসেবে জনগণের মুখপত্র হিসেবে প্রমাণ করতে হবে। এটা যদি কোনো দলবিশেষের বা গোষ্ঠীবিশেষের মুখপাত্র হয়ে যায় সেখানে তার নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতা কিন্তু কমে যাবে। দায়বদ্ধতা চলে যায় একটি দলের হাতে। সেটি হয়ে যায় একটি দলীয় পত্রিকা। সুতরাং, সেই জায়গায় একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ‘আমার বাঙলা’র যাত্রা শুরু হবে; এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।
দুই. ‘আমার বাঙলা’ জানে তথাকথিত নিরপেক্ষতার কোনো স্থান নেই। তবে ‘আমার বাঙলা’ কখনোই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের যেসব মৌলিক প্রশ্নে জাতিকে বিভক্ত করে রেখেছে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির কোনো ফাঁদে তারা পা দেবে না। তারা সমুন্নত রাখবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবকে। আমাদের জাতির পিতার মর্যাদাকে অক্ষুন্ন রাখবে এবং বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রামকে আমলে নেবে। বিশেষ করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার ব্যাপারে ‘আমার বাঙলা’ সহযোগী হয়ে নিরন্তর কাজ করবে। ‘আমার বাঙলা’ যারা সমাজকে নির্মাণ করছে, দেশকে নির্মাণ করছে, সেসব সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, শ্রমজীবী মানুষ, মননশীল বুদ্ধিজীবী মানুষ; যারা দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ভ‚মিকা রাখছেন তাদের পক্ষাবলম্বন করবে। আমরা নিরপেক্ষ অবশ্যই থাকব। তবে সাদাকে সাদা বলা এবং কালোকে কালো বলা হবে। এখানে নিরপেক্ষতা হবে সংবাদ পরিবেশেনে। কোনো সংবাদ যেন পক্ষপাতদুষ্ট না হয়, কোনো সংবাদ যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে, কোনো সংবাদ যেন মানুষকে কনফিউজ না করে, ‘আমার বাঙলা’ সে ব্যাপারে সর্তক থাকবে। আমাদের দেশে একটি কথা খুব প্রচলিত আছে সংবাদপত্রের একটি কাজ হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। পাশাপাশি এটার বিপরীতে অভিযোগ রয়েছে সংবাদপত্র বস্তনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে প্রশাসনের আশ্রয় নিয়ে প্রায়ই জনগণকে, পাঠককে কনফিউজ করে। আমি মনে করি, ‘আমার বাঙলা’ কাউকে কনফিউজ করবে না। সত্য-সুন্দর-বিশুদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ‘আমার বাঙলা’ প্রকৃত সত্য ঘটনা যতই নির্মম হোক, তা প্রকাশ করবে।
তিন. সংবাদপত্র ‘মিরর অব দ্য সোসাইটি; সমাজের দর্পণ’ আমরা এটা ভুলে যাব না। পাঠক কি চায়, তা শুদ্ধভাবে তুলে ধরাই হবে ‘আমার বাঙলা’র নীতি। পাঠকের চাহিদা যদি হয় রাজনীতি, যদি হয় সংস্কৃতি, ক্রীড়া-বিনোদন-বাণিজ্য ‘আমার বাঙলা’কে ঠিক আমরা সেভাবেই সাজাবাে। টার্গেট থাকবে কীভাবে একটু ব্যতিক্রমধর্মী সংবাদ পরিবেশন করা যায়।
সবশেষ কথা হচ্ছে, চাইলেই একটি পত্রিকা রাতারাতি বড় হতে, সাড়া জাগাতে পারবে না। তবে, আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ‘আমার বাঙলা’কে পাঠকের সংবাদপত্র হিসেবে দাঁড় করানো। ‘আমার বাঙলা’ সামাজিক দায়-দায়িত্ব আগলে রাখবে। শুধু সংবাদ পরিবেশনই নয়, জনগণ-সমাজ-রাষ্ট্রের অখণ্ডতার ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল থেকে স্পর্শকাতর বিষয়ে ‘আমার বাঙলা’ অবশ্যই সরকারের আইনগত বিধিনিষেধও উপেক্ষা করবে না।